আয় ঘুম যায় ঘুম
সারাদিনের কর্মব্যস্ততার পর, রাত্রে বিছানায় গা এলিয়ে দিলে চোখে নেমে আসে ঘুম। রাত গভীর হয়, আমরা তলিয়ে যাই গভীর ঘুমের দেশে…
না, সব সময়ে এমনটা হয়তো হয় না। অনেক সময়ে ঘুম আসার চেষ্টায় কল্পনায় আমরা ভেড়া গুনতে থাকি। একটা, দুটো, তিনটে….. রাতের প্রহর পার হতে থাকে। শেষে, অসংখ্য ভেড়া গুনেও চোখে ঘুম আসে না, রাতের আকাশ ফর্সা হয়ে ভোরের কাক ডাকতে থাকে। অবশেষে অ্যালার্ম ঘড়ি বেজে উঠে জানিয়ে দেয়, ঘুমের সময় শেষ! আবার শুরু করতে হবে একটি কর্মব্যস্ত দিন। এই ঘটনার যদি পুনরাবৃত্তি হতে থাকে রাতের পর রাত, তবে তা নিদ্রাহীনতার রোগ বা ইনসোমনিয়াতে পরিণত হয়। সময়মত তার চিকিৎসা না হলে, তা ক্রমশঃ জটিল মানসিক ও স্নায়বিক রোগে পরিণত হয়। এমনকি, দীর্ঘ নিদ্রাহীনতায় মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। কিন্তু, অনেকেই পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজনীয়তা এবং ইনসোমনিয়া সম্পর্কে বিশেষ ধারণা রাখেন না। তাই পাঠকদের উদ্দেশ্যে, স্বাস্থ্য সচেতনতা প্রসারে, ঘুম ও ইনসোমনিয়া সম্পর্কে এই আলোচনা।
আচ্ছা, ঘুম ব্যাপারটা কি?
ঘুম হচ্ছে এক বিশেষ স্নায়বিক এবং শারীরবৃত্তীয় পদ্ধতি জনিত ব্যবহার, যার ফলে সাময়িকভাবে আমাদের পরিবেশের সাথে যোগাযোগের মাত্রা (Rate of responsiveness) বিশেষ ভাবে কমে যায়, চেতনা বিলুপ্ত হয়ে আমরা পাড়ি দিই ঘুমের দেশে। মজার কথা, চেতনা না থাকলেও আমাদের মস্তিস্কের কাজ সক্রিয় ভাবে চলতে থাকে, সাথে চলতে থাকে শরীরের স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় কাজগুলো। কিন্তু, এই ঘুম ব্যাপারটা আসলে কি, সেটা বিজ্ঞানীরা এখনো সম্পূর্ণ বুঝে উঠতে পারেননি।
মাছেরা ঘুমোয় না, তারা বিশ্রাম করে।
বেশ, আমরা কেন ঘুমোই?
আমরা কেন ঘুমোই, এই প্রশ্নের উত্তর বেশ জটিল। যেমন, বিবর্তনের তত্ত্ব অনুযায়ী মানুষের কথা ধরলে, কিছু বিজ্ঞানীর মতে কয়েক লক্ষ বছর আগে প্রাচীন গুহামানবদের হিংস্র জন্তু–জানোয়ারের হাত থেকে বাঁচতে প্রয়োজন হতো ঘুম। ঘুমের সময় কোন নিভৃত স্থানে শব্দহীন ভাবে শরীর স্থির থাকে, ফলে শিকারি প্রাণীরা তাদের শিকারকে লক্ষ্য করে না। কিন্তু, এর বিরুদ্ধ মতও আছে, যেমন— অচেতন অবস্থায় শিকারকে ধরা শিকারির পক্ষে সহজ। ফলে, এই মতবাদ তেমন কার্যকরী হয়নি। আসলে, ঘুম ব্যাপারটি উচ্চতর মেরুদণ্ডী প্রাণীদের বিশেষ বৈশিষ্ট্য। শ্রেণীবিন্যাসের (Classification) প্রতিটি পর্ব অনুযায়ী ‘ঘুম’ প্রাণীদের ক্ষেত্রে ভিন্ন রূপ ধারণ করে। যেমন— মাছেরা ঘুমোয় না, তারা বিশ্রাম করে। আবার, পাখি ও স্তন্যপায়ী প্রাণীরা যখন চোখ বুজে ঘুমোয়, সেই সময় তাদের মস্তিস্কের কোষের বৈদ্যুতিক তরঙ্গ বিশেষ রূপ নেয়। মজার বিষয়, অমেরুদণ্ডী প্রাণীরা, যেমন কীট–পতঙ্গ কিছু সময় ‘সক্রিয়’ এবং কিছু সময় ‘নিষ্ক্রিয়’ অবস্থায় থেকে ঘুমের ব্যাপারটা পুষিয়ে নেয়। এখন কথা হল, শারীরিক ও মানসিক ভাবে সুস্থ থাকতে গেলে ঘুমের অবশ্যই প্রয়োজন। সারাদিনের কাজের পরিশ্রমে, আমাদের শরীরের অনেক ক্ষয়–ক্ষতি (পূরণ-যোগ্য) হয়ে থাকে। ভালভাবে ঘুম হলে, আমাদের সেই ক্ষয়–ক্ষতির মেরামত হয়, শরীরে ও মনে এনার্জি আসে, ইমিউনিটি বাড়ে, এমনকি বিজ্ঞানীরা বলছেন, পরিপূর্ণ ঘুম ও বিশ্রামে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়।
ঘুমের সময় আসলে কি হয়?
আমাদের মস্তিস্ক অসংখ্য স্নায়ুকোষ বা নিউরোন দিয়ে তৈরি। সব সময়ে এই ছোট্ট নিউরোনগুলো বৈদ্যুতিক তরঙ্গ সৃষ্টি করে একে অন্যের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে। আশ্চর্যের বিষয়, আমরা যখন জেগে থাকি, সেই সময়ের তরঙ্গ এবং যখন ঘুমোই সেই সময়ের তরঙ্গের ধরন (Pattern) আলাদা। এমনকি, ঘুমের মধ্যেও বিভিন্ন তরঙ্গ দেখা যায়, যা বিশ্লেষণ করে ঘুম চক্রের বিভিন্ন দশা বোঝা যায়।
ঘুম চক্র! সে আবার কি?
ঘুমের দুটি পর্যায়। একটি ‘রেম’ (Rapid Eye Movement) এবং অপরটির নাম ‘নন–রেম’ (Non-Rapid Eye Movement)। আমাদের ঘুম এই দুই পর্যায়ের মধ্যে ঘোরাফেরা করে। রেম ঘুমে, আমাদের চোখ বন্ধ অবস্থায় বিশেষ বিশেষ দিকে দ্রুত সঞ্চালিত হয়, অথচ আমাদের মস্তিস্কে কোন দৃশ্যের সঙ্কেত পাঠায় না। এই পর্যায়ের ঘুমে আমরা স্বপ্ন দেখি। শিশুদের ক্ষেত্রে ৫০% ঘুম হল রেম পর্যায়ের আর বড়দের ক্ষেত্রে সেটা ২০% জানা গেছে। ঘুমের সময়ে এই পর্যায় দুটি একের পর এক আসে। আমরা ঘুমিয়ে পড়ার ৯০ মিনিট পর রেম ঘুমের পর্যায় শুরু হয়। ঘুম চক্রের প্রতি পর্বে, রেম পর্যায়টি ক্রমে দীর্ঘ হতে থাকে। অবশ্য, নন–রেম ঘুমের কাজ আলাদা। গবেষণায় দেখা গেছে, নন–রেম ঘুমের মোট তিনটি গুরুত্বপূর্ণ দশা আছে। যেমন—
দশা–১ঃ ঘুমের প্রাথমিক অবস্থা। এই সময়ে আমরা বেশ কিছুটা সজাগ থাকি। এটি ৫–১০ মিনিট স্থায়ী হয়।
দশা–২ঃ হালকা ঘুমের অবস্থা। শরীরের তাপমাত্রা কমতে থাকে আর আমরা গভীর ঘুমের জন্যে তৈরি হই। এটি ১০–২৫ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হয়।
দশা–৩ঃ সবচেয়ে গভীর ঘুমের অবস্থা। এই সময়ে আমাদের জাগানো শক্ত। এই সময়ে জোর করে ঘুম ভাঙ্গালে আমরা কিছুটা সময় বিহ্বল হয়ে থাকি। আমাদের বয়স যত বাড়তে থাকে, ঘুমের এই দশাটি ক্রমশ কমতে থাকে।
নন–রেম ঘুম শরীরের পক্ষে অত্যন্ত দরকারি। এই সময়েই কলাকোষের বৃদ্ধি হয়, হাড় ও পেশী গঠিত হয়, অনাক্রম্যতা বাড়ে।
নিদ নাহি আঁখিপাতে…
বেশ কিছু কারনে মানুষের স্বাভাবিক ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। শারীরিক যন্ত্রণায়, দুশ্চিন্তায়, অত্যাধিক আবেগ প্রবণতায়, বিশেষ কোন শব্দে, তাপমাত্রার পরিবর্তনে, দীর্ঘ সময় বিমানে যাত্রা করলে নিদ্রাহীনতা দেখা দিতে পারে। সেটা অনেকদিন স্থায়ী হলে নির্দিষ্ট স্লিপ ডিসঅর্ডার বা ইনসোমনিয়ার সৃষ্টি হয়। ইনসোমনিয়ার রোগী ঘুমোবার সময় অদ্ভুত মানসিক চাপ বা ‘স্ট্রেস’ অনুভব করেন। এর ফলে, শরীরের বিশেষ ‘স্ট্রেস রেস্পন্স সিস্টেম’ অতিমাত্রায় সক্রিয় হয়ে ওঠে। সাথে সাথে শরীরে কর্টিসল ও অ্যাড্রেনোকর্টিকোট্রপিক হরমোনের পরিমান বেড়ে যায়। ফলে, হৃদস্পন্দন ও রক্তচাপ বাড়তে থাকে। রোগী উত্তেজিত হয়ে থাকেন ও ঘুম আসে না।
না ঘুমোলে ক্ষতিটা কি?
না ঘুম হলে বিরাট ক্ষতি। বিজ্ঞানীরা বার করেছেন, প্রবল নিদ্রাহীনতায় স্মৃতিশক্তি হ্রাস পায়। এছাড়া, দীর্ঘমেয়াদী ইনসোমনিয়ার ফলে, মস্তিস্কের কোষে বেশি পরিমানে জমা হতে থাকে বিটা–অ্যামিলয়েড প্রোটিন, যার ফলে হতে পারে ডিমেনসিয়া ও অ্যালঝাইমারের মতো কঠিন ব্যাধি। ইনসোমনিয়া হলে, শর্করা বিপাক দ্রুততর হয়, ফলে মস্তিষ্কে শর্করার পরিমান কমে গিয়ে প্রবল ক্লান্তি, স্ট্রেস, নিম্ন রক্তচাপ ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দেয়। ইনসোমনিয়ার সময়মত চিকিৎসা না হলে, হতে পারে মানসিক অবসাদও।
ইনসোমনিয়ার সময়মত চিকিৎসা না হলে, হতে পারে মানসিক অবসাদও।
তাইতো! তাহলে ইনসোমনিয়া হলে কি করবো?
ইনসোমনিয়ার বহু প্রকারভেদ আছে। রোগের লক্ষন, উপসর্গের তীব্রতা অনুযায়ী চিকিৎসক ইনসোমনিয়ার চিকিৎসা শুরু করেন। প্রথমে, ইনসোমনিয়ার কগনিটিভ বিহেভিহারাল থেরাপি (CBT-i) করা হয়। এতে, ঘুমের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যবিধি (Sleep education & hygiene) সম্পর্কে রোগীকে ওয়াকিবহাল করা হয়। ঘুমের নির্দিষ্ট সময় মেনে চলা, ঘুমের আগে কোন ইলেকট্রনিক গ্যাজেট ব্যাবহার না করা, ধূমপান, মদ্যপান ও উত্তেজক পানীয় গ্রহণ না করা ইত্যাদি ব্যাপারে রোগীকে জানানো হয়। আরামদায়ক বিছানার ব্যবহার আবশ্যক। ঘুমের সময় অস্বস্তিকর আলো ও শব্দ বর্জন করা উচিত।
এছাড়া, আমাদের ঘুম নির্ভর করে ‘সারকার্ডিইয়ান রিদম’ ও শরীরে তৈরি হওয়া মেলাটোনিন হরমোনের পরিমানের উপর। আমরা নির্দিষ্ট সময় জাগি ও ঘুমিয়ে পড়ি এই সারকার্ডিইয়ান রিদম বা ক্লকের প্রভাবে। সারকার্ডিইয়ান রিদম অনুযায়ী, বেশিরভাগ প্রাণী সকালে দিনের আলোয় সক্রিয় জীবন–যাপন করে এবং রাতের অন্ধকারে ঘুমোয়। এর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা হল, দিনের আলোয় আমাদের শরীরে মেলাটোনিন কম তৈরি হওয়ায় আমরা কম ঘুমোই আর রাতে বা ছায়াছন্ন পরিবেশে অনেক বেশি মেলাটোনিন তৈরি হয় বলে রাতের ঘুম গাঢ় হয়। অনেকে মনে করেন রাতে কম ঘুম হলে, সকালে বেশি ঘুমিয়ে পুষিয়ে নেবার। ধারনাটি ঠিক নয়। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে উঠে, হালকা ব্যায়াম ও আসন করা উচিত। কারন, শরীরের রক্ত সঞ্চালন ভালো হলে ঘুম ভালো হয়। ঘুমোনোর সময়টি সর্বদা নির্দিষ্ট থাকা উচিত।
ইনসোমনিয়া প্রবল আকার ধারণ করলে চিকিৎসকরা স্লিপ মেডিসিন ব্যবহার করে থাকেন। ঘুম আসার জন্যে বেঞ্জোডায়াজিফিন এবং নন–বেঞ্জোডায়াজিফিন ড্রাগ ব্যবহৃত হয়। তবে, অনেকাংশে এই ড্রাগ অভ্যাসে পরিণত হতে পারে। কিছু মেলাটোনিন অ্যাগোনিস্ট ড্রাগের প্রয়োগ আছে, যারা মেলাটোনিনের কাজকে তরান্বিত করে ও ঘুম এনে দেয়। স্নায়ুকোষের অরেক্সিন রিসেপ্টর অরেক্সিন–এ ও অরেক্সিন–বি নিউরোপেপটাইডের সাথে যুক্ত হয়ে, স্নায়ুসংকেতের সাহায্যে আমাদের জাগিয়ে রাখে। চিকিৎসকরা অনেক সময় অরেক্সিন রিসেপ্টর অ্যান্টাগোনিস্টের সাহায্যে ইনসোমনিয়ার চিকিৎসা করেন। অনেক ক্ষেত্রে, মানসিক রোগে বা অবসাদের কারনে ইনসোমনিয়া হলে, অ্যান্টি–ডিপ্রেসান্ট ড্রাগের ব্যবহারেও ইনসোমনিয়া কমে আসতে দেখা যায়।
দিনের শেষে ঘুমের দেশে…
বর্তমান ব্যস্ততার যুগে, ইনসোমনিয়া একটি প্রবল সমস্যা। তবে, রোগটিকে বর্ধিত হতে না দিয়ে নিয়মিত, সুস্থ জীবন–যাপনের মাধ্যমে একে নির্মূল করার চেষ্টা চালানো উচিত। কানের ও মনের আরাম হয় এমন সুর শুনতে শুনতে মেডিটেশান, হালকা আসন করলে ভালো ফল হয়। অ্যারোমাথেরাপি করলেও ঘুম আসে। বিশেষ করে, ক্যামোমিলি, ভ্যালেরিয়ান, পাচউলি, ইংলিশ ল্যাভেন্ডার ইত্যাদির সুগন্ধে ভালো ঘুম হয়। সর্বোপরি, মন থেকে দুশ্চিন্তা দূর করার অভ্যাস তৈরি করতে হবে, তাহলে সুস্থ ভাবে চোখে নেমে আসবে ঘুম, মন চলে যাবে স্বপ্নের দেশে…
তথ্যসূত্রঃ
-
Levenson JC, Kay DB, Buysse DJ. The pathophysiology of insomnia. Chest. 2015;147(4):1179-1192. doi:10.1378/chest.14-1617
-
Saddichha S. Diagnosis and treatment of chronic insomnia. Ann Indian Acad Neurol. 2010;13(2):94-102. doi:10.4103/0972-2327.64628
-
Krystal AD, Prather AA, Ashbrook LH. The assessment and management of insomnia: an update. World Psychiatry. 2019;18(3):337-352. doi:10.1002/wps.20674
-
Fernandez-Mendoza J, Vgontzas AN. Insomnia and its impact on physical and mental health. Curr Psychiatry Rep. 2013;15(12):418. doi:10.1007/s11920-013-0418-8
-
Bollu PC, Kaur H. Sleep Medicine: Insomnia and Sleep. Mo Med. 2019;116(1):68-75.
-
Zielinski MR, McKenna JT, McCarley RW. Functions and Mechanisms of Sleep. AIMS Neurosci. 2016;3(1):67-104. doi:10.3934/Neuroscience.2016.1.67
-
Institute of Medicine (US) Committee on Sleep Medicine and Research; Colten HR, Altevogt BM, editors. Sleep Disorders and Sleep Deprivation: An Unmet Public Health Problem. Washington (DC): National Academies Press (US); 2006. 2, Sleep Physiology. Available from: https://www.ncbi.nlm.nih.gov/books/NBK19956/
-
Yamada RG, Ueda HR. Molecular Mechanisms of REM Sleep. Front Neurosci. 2020;13:1402. Published 2020 Jan 14. doi:10.3389/fnins.2019.01402
—————————————
~ কলমে এলেবেলের অতিথি শুভময় ব্যানার্জী ~
► লেখা ভাল লাগলে অবশ্যই লাইক করুন, কমেন্ট করুন, আর সকলের সাথে শেয়ার করে সকলকে পড়ার সুযোগ করে দিন।
► এলেবেলেকে ফলো করুন।
ঘুম নিয়ে লেখাটি খুব ভালো হয়েছে।আজকাল নবীন ছেলেমেয়েরা ইলেক্ট্রনিক গ্যাজেট নিয়ে অনেক রাত অব্দি chat করে ও পরের দিন দেরি করে ঘুম থেকে উঠে।বহু কর্মীরা শিফট ডিউটি করে।তাদের এক সপ্তাহ রোজ রাত্রে কাজে যেতে হয় ,পরের সপ্তাহ হয়তো দিনে কাজ করতে হয়।এসব ক্ষেত্রে শরীরে কি তার প্রভাব পড়ে তা জানা দরকার।পরীক্ষার আগে রাত জেগে পড়াশোনা করা কি ভালো না ক্ষতিকর সে বিষয়ে কি কিছু জানা গেছে।রাত্রে dinner আর শুতে যাওয়া এবং ঘুম এদের মধ্যে কি কিছু relation আছে?
অবশ্যই চিত্তাকর্ষক রচনাটি। শরীর ও স্বাস্থ্যসচেতনতার নিরিখেও খুবই সময়োপযোগী লেখা। আজকের ব্যস্ত সমাজের প্রেক্ষিতেও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধটি। সব মিলিয়ে তাই লেখককে জানাই অশেষ ধন্যবাদ।
😊🙏😊