‘পুরা-দস্তুর দস্তার দস্তাবেজ’
ক্ষারস্নেহৈশ্চ ধান্যাম্লৈ রসকং ভাবিতং বহু।
উর্ণা লাক্ষা তথা পথ্যা ভূলতা ধূমসংযুতম্।।
মূকমুষাগতং ধ্মাতং টঙ্কণেন সমন্বিতম্।
সত্ত্বং কুটিলসঙ্কাশং পততে নাত্র সংশয়ঃ।।
—রসরত্নাকর
আচার্য্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় বিরচিত ‘হিন্দু রসায়নের ইতিহাস’ অনুযায়ী উপরের এই সংস্কৃত শ্লোকটা নাগার্জুন সিদ্ধা (সিদ্ধা, অর্থাৎ রসায়নতন্ত্রে জ্ঞানী) নামে এক ভারতীয় রসায়নবিদের লেখা গ্রন্থ ‘রসরত্নাকর’ থেকে নেয়া। এতে রসক থেকে দস্তা, যাকে ইংরেজিতে জিঙ্ক বলে, সেইটা বার করার পদ্ধতির বিবরণ আছে। ‘রসক’ মানে Calamine, দস্তার একরকম আকরিক, পাথর-বিশেষ। অবশ্য, আপনার গায়ে মাখার ল্যাকটো-ক্যালামাইনের সাথে এর অতি ক্ষীণ সম্পর্ক, ওতে এই আকরিক নেই।
‘রসক’ মানে Calamine, দস্তার একরকম আকরিক, পাথর-বিশেষ।
গুজরাতের সোমনাথ মন্দির আক্রমণ করতে গজনীর তুর্কি সুলতান মামুদ এসেছিলেন ১০৯৭ খ্রীষ্টাব্দে। তাঁরই সঙ্গে আসা ইরানের পণ্ডিত আল-বেরুনী তাঁর লেখায় লিখে গেছেন, ‘প্রায় একশো বছর আগে পণ্ডিত রসায়নবিদ নাগার্জুন সোমনাথের কাছাকাছি দাইহকে থাকতেন!’ এটা মেনে নিলে ধরে নিতে হয় এই নাগার্জুন আজ থেকে আনুমানিক এগারোশো বা বারোশো বছর আগের লোক। অবশ্য ভারতের ইতিহাসে আরো দুজন নাগার্জুনের উল্লেখ আছে এবং তাঁরা আরো আগের যুগের লোক। এ বিষয়ে নানা মুনি, নানা মত। একে তো নাগার্জুন পণ্ডিত কয়জন তার নেই ঠিক, তার উপরে আবার পরবর্তীতে যিনিই বই লেখেন, নাগার্জুনের নাম দিয়ে দেন তাতে! আর মূল বইতে জুড়ে যাওয়া হয় তথ্যের পর তথ্য, পাল্টে পাল্টে রূপকের আশ্রয়ে লেখা হয় নাম! বিখ্যাত লেখকের নাম না দিলে যেমন এ যুগে অখ্যাত লেখকের বই বিক্রি হয় না, সে যুগেও এরকম সংশয় ছিল কিনা কে জানে! এদিকে আমাদের স্বামী বিবেকানন্দ অর্থাৎ নরেন্দ্রনাথ দত্তের ক্লাসমেট, বিখ্যাত দার্শনিক ও বাঙালি গণিতজ্ঞ, আচার্য্য ব্রজেন্দ্রনাথ শীল আবার লিখছেন, সব নাগার্জুনই আসলে এক ব্যক্তি।
ভারতের ইতিহাসের এই এক চিরন্তন বিরক্তিকর দিক, সময়ের যথাযথ লিপিবদ্ধকরণ এবং তথ্য সংরক্ষণ না হওয়া। ব্রিটিশ গবেষক ডোমিনিকা উজাস্টাইকের মতে অবশ্য ‘রসরত্নাকর’ আদৌ নাগার্জুনের লেখা নয়, বরং নিত্যনাথ সিদ্ধার লেখা যাতে নাগার্জুনের উল্লেখ আছে। নাগার্জুনের আসল লেখা হচ্ছে, ‘রসেন্দ্রমঙ্গল’। এই বইতে যা আছে, সেটাই পরে রসরত্নাকরে কপি-পেস্ট হয়েছে। এই গবেষণা ১৯৮৪ সালের এবং এরপরেও ভারতীয় এবং বৈদেশিক অনেক গবেষণায় নাগার্জুনের সময়কালকে পিছিয়ে খ্রীষ্টপূর্বাব্দে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ব্রিটিশ রসায়নবিদ পার্টিংটন সায়েবের ১৯৬০ সালের বইতে দস্তা নিষ্কাশনের পদ্ধতির যাবতীয় প্রাচীন ক্রেডিট যেখানে চীনের কিমিয়াবিদদের দেয়া হচ্ছে, সেখানে ১৯৬৪–৮৮ সালের মধ্যে ভারতের রাজস্থানের রামগড়ে বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন দস্তার আকরিকের খনি, বিগালক যন্ত্রাদি এবং পিতলের বালা ইত্যাদির আবিষ্কার ভারতীয়দের দস্তাবিদ্যাকে আজ থেকে আড়াই হাজার বছর আগে ঠেলে নিয়ে গিয়েছে। আইআইটি কানপুরের ধাতুবিদ্যার অধ্যাপক অরুণ কুমার বিশ্বাসের ১৯৮৬ সালের গবেষণা আবার জানাচ্ছে, বৌদ্ধধর্মের সম্প্রসারণের মাধ্যমে বরং ভারতবর্ষ থেকে চীনে এই বিদ্যা পৌঁছে থাকতে পারে।
এহ বাহ্য। ইতিহাস এবং ভারতীয়-চৈনিক দস্তাবিদ্যার দস্তাবেজের দাবী নিয়ে তর্কাতর্কি চলুক, গবেষণা চলুক, আমরা মাথা ঘামাই সে যুগের রসায়নের জ্ঞানের স্তরটা নিয়ে। পরমাণু বা অণুর আধুনিক ধারণা না থাকলেও মৌলিক আর যৌগিক পদার্থের ভাসা ভাসা ধারণা থাকা কিমিয়াবিদের এই শ্লোক থেকে একটা বিষয় স্পষ্ট। রসক থেকে দস্তা তৈরির এর থেকে প্রাচীন বিবরণ আর নেই। অবশ্যই দস্তা জিনিসটা দেশে দেশে খ্রীষ্টের জন্মের বহু আগে থেকেই মানুষের সমাজে ব্যবহার হয়ে আসছে। তামার সাথে টিন মিশিয়ে যেমন ব্রোঞ্জ আবিষ্কার হয়েছিল, তেমনি তামার সাথে দস্তা মিশিয়ে পাওয়া গেছিলো পিতল। পিতল তামার চেয়ে বেশি টেকসই, কম ভঙ্গুর, এবং সহজে ঢালাই করে অনেকরকম আকার দেওয়া যায়। পাথরের সেই আদিম যুগে আকরিক থেকে দস্তা আলাদা করে বার করে তারপরে তামার সাথে মেশানো হতো না। বরং সোজাসুজি দস্তা আছে এমন পাথরের সাথে তামা মিশিয়ে গলিয়ে তবে পিতল তৈরি করতো মানুষে। বিখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী তথা বৈজ্ঞানিক ঐতিহাসিক অধ্যাপক সমরেন্দ্রনাথ সেনের মতে, তামার আকরিকে বা খনির ধারেকাছে পাওয়া টিন বা দস্তার সাহায্যেই কীভাবে ব্রোঞ্জ বা পিতল বানাতে হয় তা শিখেছিল মানুষে। ভারতবর্ষে এরকম খনির অস্তিত্ব ছিলো। উত্তর আমেরিকায় যেহেতু এরকম দস্তা বা টিনের খনি ছিলো না, সেহেতু সেখানে ব্রোঞ্জ বা পিতলের কোনো প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনও মেলে নি!
এদিকে ধীরে ধীরে হয়তো মানুষ শিখেছে কত অনুপাতে কী কী মেশালে এই সোনালী পিতল পাওয়া যায়। সোনালী, সেই কারণে এইরকম অ্যালকেমীয় ধারণাও জন্মাতে পারে যে, এ হলো সোনার নবজন্ম! ম্যাজিক! তামা থেকে সোনা, এই তো পরশপাথর গোছের কিছু মিলে গেছে!
কিন্তু সে যাই হোক, মোদ্দা কথাটা হলো এই যে, আর কোনো দেশের এইরকম পুরোনো বইতে আকরিক থেকে ধাতু দস্তা নিষ্কাশনের এরকম বিশদ বর্ণনা এইরকম ভাবে লিখিত আকারে পাওয়া যায় নি।
আর কোনো দেশের এইরকম পুরোনো বইতে আকরিক থেকে ধাতু দস্তা নিষ্কাশনের এরকম বিশদ বর্ণনা এইরকম ভাবে লিখিত আকারে পাওয়া যায় নি।
ক্ষার, স্নেহ (চর্বি), ধান্যাম্ল (ভিনিগার) দিয়ে রসককে ভালো করে তৈরি করে, তাতে উর্ণা (পশুর লোম/মাকড়সার জাল), লাক্ষা, ভূলতা (কেঁচো/লতানে গাছ), ধূম (ধোঁয়ার কঠিন অবস্থা, অর্থাৎ ভুসোকালি) মিশিয়ে মূকমুষায় (বদ্ধ পাত্রে, ভেতরের আওয়াজ যাতে বাইরে না আসে, সেইজন্য মূক!) টঙ্কণ (সোহাগা, বোরাক্স, বোরন মৌলের প্রাকৃতিক যৌগ) দিয়ে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে (ধ্মাত) বেশ কুটিল (জটিল, কপট, তখনো জানা ছিলো না যে দস্তা একটা মৌলিক পদার্থ) দেখতে একটা সারবস্তু (সত্ত্বা) বেরোবে। যেটা বেরোবে সেটা দেখতে অনেকটাই রূপোর মতো। তাই হয়তো ‘কপট’ রূপো ভেবে থাকবেন ভারতীয় কিমিয়াবিদ। দস্তা যে একটা আলাদা মৌলিক ধাতু, সে বিষয়ে পড়াশোনা অবশ্য রসরত্নাকর বা রসেন্দ্রমঙ্গলের সময়ে শুরু হয়নি, বলাই বাহুল্য। ১৩৭৪ খ্রীষ্টাব্দে পাওয়া আয়ুর্বেদাচার্য মদনপালের এক পুঁথিতে সর্বপ্রথম ধাতু হিসেবে দস্তার উল্লেখ মেলে। তখন দস্তার সংস্কৃত নাম ছিলো যশদ, অথবা জসদ। তার থেকে লোকমুখে জসদা, তার থেকে হয়তো কোনোকালে উল্টে গিয়ে জস্তা এবং দস্তা বলা শুরু হয়েছিল। পারস্যের লোকে বলতো ‘সিন্’, সেদেশের ভাষায়, পাথর। সিন্ থেকে হয়তো ইউরোপে জিঙ্ক শব্দটা চালু হয়ে থাকবে। তখন তো আর জানা ছিলো না, আলেসান্দ্রো ভোল্টা ব্যাটারি বানাতে এই ধাতুটা নিয়ে লাগবেন। আয়ুর্বেদিক যুগের কিমিয়াবিদরা নিষ্কাশিত দস্তা থেকে বিভিন্ন মলম এবং পাউডার জাতীয় ওষুধ বানাতে বেশি উৎসুক ছিলেন।
তখন দস্তার সংস্কৃত নাম ছিলো যশদ, অথবা জসদ। তার থেকে লোকমুখে জসদা, তার থেকে হয়তো কোনোকালে উল্টে গিয়ে জস্তা এবং দস্তা বলা শুরু হয়েছিল।
আমরা মূল শ্লোকে ফিরে আসি বরং। ক্যালামাইন, অর্থাৎ রসক মানে জিঙ্ক ধাতুর কার্বোনেট লবণ। যেমন এই চক হচ্ছে ক্যালসিয়াম ধাতুর কার্বোনেট লবণ, ঠিক তেমনি। কার্বোনেটে ক্ষারই দিলে কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস হয়ে পালাবে, আর জিনিসটা হয়ে যাবে জিঙ্কের হাইড্রোক্সাইড। হাইড্রোক্সাইড কোত্থেকে এলো? ঐ যে ক্ষার মানে পটাশিয়াম হাইড্রোক্সাইড, তার থেকে হাইড্রোক্সাইড বেরিয়ে জিঙ্কের গায়ে আটকে যাচ্ছে। জিঙ্ক হাইড্রোক্সাইড নামে একটা আলাদা ক্ষার তৈরি হচ্ছে।
আবার ভিনিগার মেশালেও জিঙ্কের কার্বোনেট অংশটা কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস হয়ে পালাচ্ছে। ভিনিগারে ছিল অ্যাসিটেট অংশটা। সেটা ভিনিগার থেকে বেরিয়ে জিঙ্কের গায়ে আটকে যাচ্ছে। হয়ে যাচ্ছে জিঙ্ক অ্যাসিটেট নামে আরেকটা নুন।
কিন্তু জিঙ্ক হাইড্রোক্সাইডই হোক আর জিঙ্ক অ্যাসিটেটই হোক, ভালো করে সিদ্ধ করলে ওটা থেকে শেষমেষ যেটা পাওয়া যায়, সেটা হচ্ছে জিঙ্কের অক্সাইড, মানে জিঙ্ক আর অক্সিজেনের একটা যৌগ। এরপর এর থেকে যদি জিঙ্ক ধাতুটাকে পেতে হয় তবে অক্সিজেনটাকে তাড়াতে হবে। সে কি আর এমনি এমনি যাবে? সে তো রাসায়নিক বাঁধনে বাঁধা অক্সিজেন, অক্সাইড হয়ে বসে আছে! তাই তাকে তাড়াতে রাসায়নিক রাস্তায় আসতে হবে। আর সেই রাস্তাটা হচ্ছে, বিজারণ সরণী।
দস্তার নিষ্কাশন প্রোটোকল বিশুদ্ধ সংস্কৃত ভাষায় শ্লোকের আকারে যে লিখে রেখে যাবেন আয়ুর্বেদিক ঋষিরা, এটা জেনে তাজ্জব না বনে পারা যায় না!
বিজারণ করতে, অর্থাৎ অক্সিজেন তাড়াতে দরকার হচ্ছে কার্বনের। এই কার্বনেরই উৎস হচ্ছে ঐ লতা, কিংবা কেঁচো, তারপর মাকড়সার জাল এবং ভুসোকালি। এই যে কার্বন, সে জিঙ্কের গা থেকে অক্সিজেন খুলে নিজে পরে নিয়ে কার্বন মনোক্সাইড গ্যাস হয়ে যাচ্ছে। পাত্রে অর্থাৎ মুষায়, যাকে ইংরেজিতে বলে ক্রুসিবল্, তাতে শেষমেশ পড়ে থাকছে অন্যান্য অশুদ্ধির সঙ্গে অক্সিজেন-হীন উলঙ্গ ধাতব দস্তা। অবশ্য এই ধাতুকে এখনও একেবারে উলঙ্গ বলা যাচ্ছে না, কারণ এতে ন্যাকড়ার মত জড়িয়ে আছে নানাবিধ অশুদ্ধির ফ্যাকড়া। আর সেই অশুদ্ধিকে মুছে ফেলতে হলে চাই বিগালক। বিগালক নিজে আত্মবলিদান দিয়ে নোংরা অশুদ্ধিগুলোকে গিলে ফেলবে আর ধাতব দস্তাকে করবে উন্মোচিত। এখানে টঙ্কণ অর্থাৎ সোহাগা বা বোরাক্সকে বিগালক হিসেবে ব্যবহার করছেন আয়ুর্বেদের ঋষিরা। ভেতরের বস্তুগুলোকে ধ্মাত করে অর্থাৎ ফেনা তুলে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে অশুদ্ধিগুলো দূর করছে সোহাগা। সংক্ষেপে এই হল রসক থেকে দস্তা পাওয়ার ফর্মুলা। এ পদ্ধতির রাসায়নিক সমীকরণ মাধ্যমিকের রসায়নবিদ্যা অধ্যয়নরত যে কোন ছাত্রছাত্রীদের কাছেই জলবৎ তরলং, কিন্তু সেই দস্তার নিষ্কাশন প্রোটোকল বিশুদ্ধ সংস্কৃত ভাষায় শ্লোকের আকারে যে লিখে রেখে যাবেন আয়ুর্বেদিক ঋষিরা, এটা জেনে তাজ্জব না বনে পারা যায় না! যাকে বলে পুরাকালের পুরোদস্তুর দস্তার দস্তাবেজ আর কি!
তথ্যসূত্রঃ
১. ‘হিন্দু রসায়নের ইতিহাস’, আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়
২. Rasa Ratnakar Siddha Nitya Nath Khemraj ( Aurveda) (Archive.org থেকে)
৩. An Alchemical Ghost: The Rasaratnâkara by Nâgârjuna, Dominik Wujastyk, Pages 70-83
(https://doi.org/10.1179/amb.1984.31.2.70)
৪. ‘বিজ্ঞানের ইতিহাস’, সমরেন্দ্রনাথ সেন
৫. Biswas, Arun Kumar 1993. The primacy of India in ancient brass and zinc metallurgy, Indian Journal of History of Science 28(4): 309-330.
চিত্রসূত্র: রাজস্থানের জাওয়ার অঞ্চলে পাওয়া দস্তা বিগলন তথা নিষ্কাশন কেন্দ্রের ঐতিহাসিক নিদর্শন (সৌজন্যেঃ আন্তর্জাল)
———————————
~ কলমে এলেবেলের অতিথি শ্রুতিসৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায় ~
► লেখা ভাল লাগলে অবশ্যই লাইক করুন, কমেন্ট করুন, আর সকলের সাথে শেয়ার করে সকলকে পড়ার সুযোগ করে দিন।
► এলেবেলেকে ফলো করুন।
সাহিত্য আর বিজ্ঞানের আদর্শ মিশেল ঘটেছে লেখাটার ভিতর দিয়ে। খুবই সরস ভঙ্গিমায় বিষয়টা তুলে ধরা হয়েছে। ভূমিকাটিও চমৎকার হয়েছে। লেখককে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।🙏